উপমা
যোনির একটিই উপমা দিতে বললে, আমি বলব,
সেই বিপুল গভীর টেথিসের কথা বিবেচনা করা হোক ।
যদি উলটে টেথিসের উপমা চাও, তাতেও বলব,
সেই বিপুল গভীরতম যোনির কথা- যা
তিউনিসীয় শেখ নেফাজিও খুঁজে পাননি।
আসলে আমরা এসে পড়ার অনেক আগে থেকেই
অজানা কীসব ষড়যন্ত্রে
খন্ড খন্ড হয়ে যায় টেথিস; আজ তার
অনুরূপ কত কত ঘুরে বেড়ায়।
অবশ্য আজ আমাদের গল্প কবিতায়
সেই টুকরো টেথিসের প্রতি মোহই
মহাভারত হয়ে বর্ণিত হচ্ছে।
অবোধ্য
আমি আজও বুঝতে পারিনি
কেন তারা আমাকে নিয়ে এল!
সেইসব ভালোবাসা সংরাগের সঙ্গে আমার কীইবা সম্পর্ক!
দেখলাম জগতের আর সমস্ত অযোনিসম্ভূত।
কী আশ্চর্য আমার বরাবরই
সেই রিংএর ভেতর দিয়ে গলতে থাকা সার্কাসের
লোকটির কথা মনে পড়ে।
আমিও কেন অমন রিং-এর খেলায় ঢুকে এলাম ?
এখানে এত এত কলকাঠি আর
নাড়াবার লোকও অদৃশ্য।
আমি বুঝে উঠতে পারিনা
এই রিং-এর খেলা থেকে বেরোব কী উপায়ে
কী উপায়ে আবার হয়ে যাব অযোনিসম্ভব!
No comments:
Post a Comment