।। বাক্‌ ১২০ ।। পুরঞ্জয় তন্তুবায় ।।




আগুন মশাল

এমন সময় অপরিচয় রইল হিমে তোলা
সব গতিপথ জেনেছে রৌদ্দুর।
তোমার রাস্তা মাপতে মাপতে দিনশেষে পথভোলা
একলা পথিক।আঁধারে ভরপুর।

সন্ধানী মন খুঁজলো যখন বিশ্বাসে ভর করে
পূর্ণচ্ছেদ আটকালো পথ তার।
অরণ্যানীর স্বপ্নমালায় ছায়ারা অন্তরে
পুষছে আগুন।বিদ্রোহ চিৎকার।

কার যে নামে কিই বা থামে! কৌতুহলী মন
জেনেছে ঠিক রৌদ্দুরকে ছুঁয়ে।
একলা আকাশ দেখছে চেয়ে গর্হিত বন্ধন
যাচ্ছে গলে।আগুন ধুয়ে ধুয়ে।

তবুও তো তার কাঁচা হুংকার বৃষ্টিপাতের আগে
দাওয়ায় রাখে উপোষী বৈকাল।
সন্ধ্যে হলে জাগতে মানা।হিমেল হাওয়া লাগে
মধ্যরাতেও,কেঁদেছে কঙ্কাল।

হিসেব নিকেশ বুঝেছে বেশ।এক যে ছিল পথিক
অরণ্যানীর স্বপ্নস্মৃতির রাতে
যে ছায়ারা আগুন মেখে পথ খুঁজে নেয় ঠিক
রৌদ্দুর তার হাত রাখে বৈঠাতে।।




               
আয়নাকে

একটু একটু করে ছুঁয়ে নিয়ে পরিচিত শোক
          কখনো বা দেখেছি তোমাকে।
আবর্জনাকে কার মুছে রেখে দিয়েছিল পুরনো আঁচল?
স্মৃতির গলিতে কার বিহ্বল চোখের পলক
             খুঁজেছিল ভেজা আয়নাকে?

হয়তো সে লজ্জাবতী। তারই প্রতিচ্ছবি নিয়ে
     আমারই সামনে ধরো,
                          স্মৃতি তার আমাকেও দাও।
সৌচ্চার প্রণতি নয়,
                    ভেবে দেখো তোমারই আগুনে
পুড়ে গেছে ভেজা আয়নাও......


No comments:

Post a Comment