।। বাক্‌ ১২০ ।। অনিকেশ দাশগুপ্ত ।।





ক্ল্যাপস্টিক ও নিছক একটি কল্পনা

লুকিয়ে থাকা অন্তঃসারশূন্য এই দুপুর
তার উষ্ণতাটুকু তুমি টের পেলে স্পষ্ট
সমস্ত করতাল সমস্ত ক্ল্যাপস্টিক ,ওই দাগের পেছনে
 ঝলমলে সিঁড়িদের রং তুমি চিনতেই পারো
কী আর্ত বল্লম ছুঁড়ে দিয়েছো  দ্যাখো, শ্রীচরণেষু ক্রমে-
তোমায় জিজ্ঞেস করি ,
যে রংগুলি সিঁড়ির, তার কতভাগ জ্যান্ত চিত্রকর ?
যে ধ্বংসাবশেষ সূর্যের কেন্দ্রে, তার কতটা আকাশ?
অতএব  সমস্ত পথের ধারে
                                    সশস্ত্র  উপপথ
অতএব ওই যে
                     ফলাও করে বলা হচ্ছে উদয়াস্ত প্রবাদ ;

অথবা  
        ঠিক  এইখানে  কোন চিরনিদ্রিত বাঁক ,
            আড়কাঠির          সুনিবিড় আড়াল
                 সাদামাটা চোখে,
                     দ্বিতীয় হওয়ার মতো     কল্পকাহিনী
                                  কোনো শীতল   দৃষ্টির সম্প্রদানে





রাত্রিবাস


একদিনের জন্য প্রিয় বিস্মৃতি ,প্রজাপতির রীতিহীন প্রবাহে
উজ্জ্বল  ডানা নেই একা ; আমাদের পূর্ণদহনবেলা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে
ভাবি, স্থায়ীজন্ম অস্থির নিরুদ্দেশে | প্রবলকে বলি এতো অসমাপ্ত
যাত্রায় আমরা তবুও নিঃস্ব - সমস্ত দান আজ বিকেলের পথে পাবে
গন্ডীর এপারে দাঁড়ানো হার
গন্ডীর এপারে অন্য নিয়ম কিছু নেই,
সচেতন নির্দেশিত  শব্দের ভেতর মৃত্যুদিন-
অশ্রুত ; মহীয়সী শিখা দেখেছে যারা ব্রহ্মান্ডের অসম্ভব কোটরে
প্রত্যেকটি দিন তার একেকটি নিভৃত রাতে রইলো
খুলির  ভেতর সেই প্রাচীন শতাব্দীর বিগ্রহ নিঃশ্বাসহীন অথচ
সবার কাছেই রৌদ্রের একক প্রতিকৃতি হেঁটে যায় |
এই  অন্তহীন রাত্রিবাস বলেই এই প্রিয় অবসন্ন প্রজাপতি
নীচু মেঘের ভিড়ে নিরুদ্দিষ্ট কাঠামোয়



একটি মোনোলগ

এখনই তবে বুকভর্তি জল , একটা নতুন ভোরে সজাগ তুমি
এতো অবিন্যস্ত সবুজের পর
সনির্বন্ধ মাটির কথা ভাবি;
নিঃশ্বাস গুণে গুণে , তোমার সাদা পালকে
অনেক পাখির ফানুস আজ   - কিভাবে সজাগ ভোরে তুমি?
আজ তবে ভিন্ন স্বাদ ভিন্ন উপকূল
আর এই পঞ্চতন্ত্র - পল্লবহীন
ধূসর হতে হতে একঘর জোনাকী
এই পরিচিত দৃশ্যের মত সরল উপস্থিতি তোমার
একদিন তবে বুকভর্তি জল,আমাদের পরিচিত সরোবর










 









No comments:

Post a Comment