উৎপল কুমার বসুর কবিতার পরিসরটা এতই বিস্তৃত যে একটি ছোট
গদ্যে তাকে অংশতই ধরা যেতে পারে। কবিতায় প্রায় প্রথম থেকেই নিরীক্ষার মাত্রা
চরিয়েও, বাংলা কবিতায় সম্ভবত একমাত্র উৎপলকুমার বসুই পরেছিলেন কবিতার বিভিন্নতর
গুণের ও মাত্রার পাঠকের কাছে পৌঁছে যেতে। আমি ব্যক্তিগতভাবে দেখেছি, যারা কবিতায়
পরীক্ষা নিরীক্ষা বা যথেষ্ট বাঁক বদলের ঘরনা পছন্দ করেন না অথবা এবিষয়ে সর্বদাই
বিভ্রান্ত, তাদের হাতেও উৎপল কুমারের ‘আবার পুরী সিরিজ’ ‘সলমা জরির কাজ’ অথবা
কবিতা সংগ্রহ’। তিনিই তো বোধহয় একবার কথায় কথায় তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেছিলেন যে
, পাঠক তাঁর কবিতা বুঝতে পারল কী না পারল না তাতে তাঁর কিছুই যায় আসে না । উৎপলকুমার
বসুর সঙ্গে আমি যতটুকু মিশেছি, তাতে করে মনে হয়েছে বাংলা কবিতার
একেবারে সরল সাদাসিদা এবং প্রথারুদ্ধ কবিতা বিষয়ে তিনি নিশ্চিতভাবে অখুশিই ছিলেন।
প্রয়াণের কিছুদিন আগে পর্যন্ত আমি তাঁকে দেখেছি কলেজ স্ট্রীটের কফি হাউসে নিয়মিত
আসতে, এবিষয়ে অন্যান্য কবিদের মধ্যেও বিস্ময় কাজ করতো। অনেক
তরুণ কবি বা সাক্ষাতকার প্রার্থী মেঘমল্লারে, গড়িয়াহাটে তাঁর ফ্ল্যাটে যেতেন।
কিন্তু কয়েকবার তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতে এবং ফোনে কথা হয়েও তাঁর ফ্ল্যাট মেঘমল্লারে
যাওয়া হয়ে ওঠেনি। কবিতা ক্যাম্পাস পত্রিকার জন্য
অনুরোধ জানালেও তিনি কথা দিতে পারতেন না । বহু বছর আগে তাঁর একটি কবিতা প্রকাশিত
হয়েছিল কবিতা ক্যাম্পাসে। ২০১২ সালে উৎসব সংখ্যায় তাঁর কবিতা নিয়ে সন্দীপ
মুখোপাধ্যায় ‘কবিতা ক্যাম্পাসে’ একটি ভারী গদ্য লেখেন। সেই আলোচনা সংখ্যাটি তাঁর
হাতে তুলে দিয়েছিলাম। সেই সংখ্যায় তাঁর কবিতা সম্পর্কিত আলোচনার পাশাপাশি আরো ২৯
জন কবির কবিতা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা ছিল যেমন স্বদেশ সেন, মণীন্দ্র গুপ্ত, আলোক
সরকার, ভাস্কর চক্রবর্তী, শঙ্খ ঘোষ, রবীন্দ্র গুহ, অরুণেশ ঘোষ প্রমুখ। এ সংখ্যাটি
সম্পর্কে উৎপল কুমার বসুর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
কফিহাউস টেবিলে তাঁর কবিতা বিষয়ে কথা উঠলে, তাঁকে নীরব থাকতে দেখেছি।
প্রায় ৩৫ বছর আগে কলেজ স্ট্রীট অঞ্চলের পুরানো বই কেনা
বেচার একটি দোকান থেকে তাঁর ‘আবার পুরী সিরিজ’ কবিতা গ্রন্থটি কিনে দেখি তিনি এই
বইটি উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন এক বন্ধুকে যাকে দিয়েছিলেন, তাঁর নাম করে লিখেছিলেন
‘অলোককে’ নিচে তাঁর সই, এবং তারিখ ১৪ই অক্টোবর ৭৮। আমি ভাবতে শুরউ করি এই ‘অলোক’
কোন ব্যক্তি, অলোক রঞ্জন দাশগুপ্ত নাকি অলোক রায় , অথবা অন্যকোনো ব্যক্তি। সেই
আমার প্রথম বিস্তারিতভাবে উৎপলকুমার বসুর কবিতা পাঠ। এই গ্রন্থের বিভাব কবিতা যা
ভূমিকা নামেই প্রকাশিত, পাঠ করার সময় আমার সমগ্র সত্তা ঝাকুনি দিয়ে উঠেছিল।
ইতিমধ্যে যদিও আমি আধুনিক কবিতার কিছুটা পাঠ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলাম, এবং শ্রুতি
আন্দোলনের কোনো কোনো কবির কবিতা আমার ভালোলাগার স্তরে পৌঁছে গেছিল, কিন্তু উৎপল
কুমার বসুর কবিতা একেবারেই অন্য জগতের কবিতা বলে আমার মনে হল। ভূমিকা অংশটি আসলে
একটি কবিতাই, সেই লাইনগুলোর দিকে আজ আবার ফিরে তাকালাম, কী
অসম্ভব আপাদমস্তক চাঞ্চল্য কাজ করেছে সেই লেখায়। প্রথম পঙক্তিটি ছিল এরকম
‘হস্তচালিত প্রান তাঁত সেই আধোজাগ্রত মেশিনলুম আমাদের হুর রে’ তারপর শেষ পঙক্তিটি
লিখলেন এভাবে – আর কি চাইতে পারো কলকাতায় তাঁতকল ছাড়া তুমি চেয়েছ কবিতা’ বস্তু জগত
এবং মনোজগত উভয়ের সঙ্গে সম্পর্কের
নিবিড়তায় লেখা হয় উৎপলকুমার বসুর কবিতা। হাংরি আন্দোলনের কবিদের সঙ্গে তাঁর
সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল, জানা যায় জড়িয়েও পড়েছিলেন , কিন্তু খুব সতর্ক ভাবেই বিশেষভাবে
চিহ্নিত হবার আগেই তাঁর কবিতাকে দিয়েছিলেন মুক্তি এবং সম্পূর্ণ নিজের মতো করেই
তৈরি করে নিয়েছিলেন এমন এক কবিতার ভাষা যা হয়ত শ্রুতি মধুর নয়, কিন্তু কোন এক
যাদুতে আকর্ষণ করে ধরে রাখেন পাঠককে। পাঁচের দশকের কবিদের কবিতায় সবচেয়ে বড় দিক
ছিল রোমান্টিসিজিমের দুঃসাহসিক ব্যবহার যা রোমান্টিসিজমের আপাত প্রকৃতি থেকে অনেকটাই
ভিন্ন। তীব্র বোহেমিয়ানিজমের ধরতাই পাঁচ দশকের কবিদেরকে
তিরিশ চল্লিশ দশকের কবিদের পিছুটান থেকে অনেকটাই অপর করে দিয়েছিল, কল্লোলের
ঐতিহাসিক অবদানকে মাথায় রেখেও বলা যায় ব্যক্তিগত জনিত কারণেই হয়তো উৎপল পরবর্তীতে
তৈরি পাঁচ দশকের মিথ থেকে নিজেকে আরো বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছেন। কবিতায় কেন্দ্রিকতা বজায়
রাখা যদি পাঁচ দশকের কবিদের কোনো একটি বৈশিষ্ট হয়, তবে সেখান থেকেও পাড়ি দিলেন
উৎপল কুমার বসু নিজের মতো করে এক বিকেন্দ্রিত কবিতার ভাষা নির্মাণ করে। ‘আবার পুরী
সিরিজ’ গ্রন্থে সেই কবেই তো লিখেছিলেন – তোমাদের বিচালিগাদায়
আমাকে দিয়েছে ঘর –গ্রীষ্মে এতে আগুন লাগাব জেনো, এই গ্রীষ্মে –আমি নিরুপায় –
তোমাকে লাফিয়ে যেতে দেখব তোমার পুকুরের জল ডিঙিটির দিকে – তোমার অস্বাভাবিক খাঁচার
চকোরগুলি নষ্ট হবে হোক- পুকুরের শাপলায় তুমি নষ্ট
হও’ (আগুন আগুন) ফ্ল্যাট গল্পের মতো সম্ভবত ফ্ল্যাট কবিতা তিনি লিখতে চাননি
কোনোকালেই, কখনো হয়ত অবান্তরতার অভিযোগ উঠেছে তাঁর কবিতা সম্পর্কে অভিযোগ উঠেছে এই
কারনেই, তিনি একটি অভিজ্ঞতার বোধের ভিতরে বারবার অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছেন আর একটি যা
বেশি কোনো অভিজ্ঞতার অনিয়ন্ত্রিত বোধ।
“হয়তো কবিতা নিজেকে ঘিরে যে অস্তিত্ব জটিল বাস্তবতা তৈরি
করে তাঁকে আমরা প্রতিবিম্ব, প্রতিফলন, ছায়াপাত বলে স্বীকার
করে নিলে খানিকটা স্বস্তি পাবো, কেননা আমাদের জানতে বাকি নেই যে সামান্য বাতাসে
জলবাসী প্রাণীদের সামান্য নড়াচড়ায় ঐ সুখী
স্থির পুকুরের ছবি টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। কবিতার বাস্তবতা যেন ভেঙে পড়ার জন্যই
সৃষ্ট হয়” – লিখেছিলেন উৎপল কুমার বসু । যদিও তিনি কবিতাকে উপমায়িত করতে চেয়েছেন
মানব মানবীর আর্ত চিৎকারের মতো, পাগল হাসির মতো- এবং যে শব্দ ,উপমা, অলংকারের
ধ্বনি দ্বারা চিহ্নিত করেছেন তাকে, তথাপি
আমার মনে হয়েছে বাস্তব লেখার বেলায় এসব আপাত চিহ্নায়ন উপদেশ
থেকে ছড়িয়ে গেছে তাঁর কবিতার টেক্সট।হয়তো সেকারণেই তিনি বলেছিলেন-“রীতিনীতি
আমি জানিনা”। হয়তো তাঁর মতো কবিরাই পারেন বস্তু পৃথিবীর সঙ্গে
নিরন্তর সেতুবন্ধন করে যেতে এবং সেই সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে
বস্তু জগতকে প্রভাবিত করতে। হয়তো তিনি চাইতেন তাঁর মানসিক জগতে বিনির্মিত হওয়া
প্রাকৃতিক অপ্রাকৃতিক উপাদানগুলি অবিরাম দ্রবীভূত হয়ে যাক তাঁর কবিতার বোধপ্রবাহে।
সেখান থেকেই হয়তো উঠে এল এইসব অনিবার্য পঙক্তি মালা –
‘ যে বীজ ভাসছে শূণ্যে আমার কর্তব্য তাঁকে মিছে কথা বলা
তাঁকে হেথা টেনে আনা
যে প্রতীক সিঁদুর মাখা তাঁকে লেহনযোগ্য বলে গুজব ছড়ানো
তাঁকে নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে
দীর্ঘ ও লম্বিত ফুঁ-য়ে চারিদিকে নাচিয়ে বেড়ানো
চিৎকারে কোলাহলে তাঁকে অবিরাম প্রতিযোগিতার
শেষ সাঁতারুর মতো
দিনরাত অনিদ্রিত রাখা
ঐ বীজ জেগেই রয়েছে।
জেগে জেগে ঘুমিয়ে রয়েছে’।
লিপিত হওয়া কবিতার উৎসে সে মহাজাগতিকতা প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে
উন্মাদিত, আলোড়িত তথা আনন্দিত প্রবাহে সমস্ত নির্দেশকে
তুড়ি মেরে অস্তিত্বের পুর্নগঠন করে চলেছে,
সেই সবের অন্দরমহলে ছিল তাঁর অবিরাম গমনাগমন, দৈহিক ও
মানসিকভাবে। তবু একজন কবির সর্বদা অতৃপ্তি, সন্দেহ এবং নিজের ব্যর্থতার কথা তাঁকে
স্থির রাখে না। তিনি ভাবতে থাকেন, আসলে তিনি কার গান গাইছেন, কিভাবে গাইছেন সেই
গান। সবকিছু দেখার এবং লেখার পর তিনি একটা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন, হয়তো নিজেকেই
প্রথমত লক্ষ্য করে – ‘তাহলে আমি কি
সৃষ্ট পৃথিবীরই গান গাইছি? চেনা অচেনা জগত, চতুর্দিকে ঘুরে ফিরে দেখা জগত, কাছ থেকে
দূরে সর্বত্র, যখন তাঁর স্মৃতিতে ঘনীভূত হয়ে আসে, তখন
অনিবার্যভাবেই জেগে ওঠে একটি প্রশ্ন –‘ঐ সবই কি আমার প্রথম বই নয়? লিপিকার হয়ে
ওঠার প্রথম সংস্করণ কি ঐসব অনুশীলনী নয়? কোনো ছেদচিহ্ন ব্যবহার না করে টানা গদ্যে
টানটান ভাষায় লিখে যাওয়া সম্ভবত তিনিই দেখালেন অন্যভাবে। অন্যভাবে কথাটা
এলো এই কারনে যে আধুনিক পর্বে কবি অরুণ মিত্রের কাছ থেকে টানা গদ্য অবয়বে আমরা
কবিতা পেয়েছি। সেখানেও চোরাস্রোতের মতো কাজ করেছিল তিরিশ চল্লিশের সদ্য রবীন্দ্রিকতা
মুক্ত আবেগী ভাষা। ‘পুরী সিরিজ’ এর ৬ সংখ্যক সংখ্যক কবিতাটি সদা প্রবাহমানতায় সমুদ্রের
মতোই জায়মান। সেই কবিতার অন্তর্বয়নের কিছু অংশ
– “ আবিসিনিয়ার
রূঢ় অব্যয় মাটি দিয়ে গড়া এক চকবাজারের হৃদয় স্পন্দমান তাঁকে রক্ষা করো বন্দুকের
চোরাচালানের মতো মনে হয় নিজেকে আমার এবং আকাশ থেকে সৌরমাকড়সার মতো ধাবমান তুমি দিন তুমি রাত্রি উটে বা গাধার পিঠে পণ্য
নিয়ে বহুকাল অপেক্ষা করেছে এই হারারের ফটক খেলার ক্রমাগত লোহার তামার শব্দে
পৃথিবীতে বাদামখোসার মতো ভেঙে পড়ে অন্তর্নিহিত মানুষের উল্লুকের পরিবার দেখাচ্ছে
বক্তাকে বিহব্ল ভূতে পাওয়া কিশোরীর মতো টেনে নিয়ে যাও মানুষের কনুইবন্ধনে সরু
সৈকতের বালুর উপর কিন্নরের পদচারণার মতো প্রাথমিক এই স্ব অভিজ্ঞতার ফ্লের সোপান
ভেঙে সূর্যে উঠে যাওয়া পাতার মর্মর ভেঙে শাখাপ্রশাখা গূঢ় রঙ্গীন ক্ষুব্ধ রস নিষিক্তের
অধৈয়ের…”
কবি অরুন মিত্রর কবিতা প্রসঙ্গে লিখতে প্রাবন্ধিক সরোজ
বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছিলেন - তাঁর কথারা
বর্তমানের দর্পণ, কিন্তু সেই বর্তমানেই ত্রিকালের বেনীবন্ধন ঘটে, তাঁর ব্যবহৃত
শব্দগুলিতে নিজস্ব ধ্বনি ও অর্থের অনুষঙ্গ কে পুনরায়
উজ্জীবিত করে তোলা তাঁর লক্ষ্য। তিনি বিশ্বাস করেন না তথাকথিত সিনট্যাক্সের
অনড়তায়। সেখানে তিনি যতিচিহ্নের আবশ্যিকতাও মানেন না’ । সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পর্যবেক্ষণ
উৎপলকুমার বসুর কবিতার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য অনেকটাই। আরো একটি কথা এর সাথে যুক্ত করা
যেতে পারে লজিক্যাল ক্লকট, যুক্তিপ্রথার তোড়জোড়। প্রসঙ্গ থেকে প্রসঙ্গান্তরে, বিষয়
থেকে বিষয়ান্তরে, স্থির চিত্রকে হ্যামার করার মধ্য দিয়ে তিনি যেন দিশা থেকে
বিদিশায় ছুটে চলেছেন। জীবনানন্দের
ব্যবহৃত চিত্রকল্পকে উৎপল কুমার নিয়ে গেলেন দূরে
আরো দূরে সিনট্যাক্স অমান্য করেই। টুকরো টুকরো ভাঙা ভাঙা বাক্য লিখলেন অজস্র।
পারস্পারিক পরিপূরকতার তত্ত্বকে অনেক জায়গায় অমান্য করে লিখলেন এবং তাতে করে কোথাও
মনে হল না আবহমান কবিতার ধারাকে তিনি বিপদান্ন করে তুললেন। ভাষাকে এমন ভাবে সাজালেন
তা যেন একজন চঞ্চল মানুষের ভাবনারই অস্থিরতা। আরো একটু ধৈর্য
নিয়েই বলা যায়, তিনি তাঁর কবিতার ভাষায় রেখে গেলেন এমন সব
স্পেস যা তরুণ প্রজন্ম অনায়াসেই নিজেদের মতো করে সাজিয়ে নিতে পারেন তাদের কবিতায়
আমি বলতে চাই জীবনানন্দ, নজরুল, বা সুভাষ , দেবীপ্রসাদ বা আলোক সরকারের কবিতার
ভাষা আদৌও অনুসরণ যোগ্য নয়, শুধু অভিজ্ঞতায় নেওয়া যেতে পারে কিন্তু উৎপলকুমার বসুর
কবিতার ভাষা একজন তরুণ কবি স্বাতন্ত্র বজায়
রেখেও অনায়াসেই ব্যবহার করে নিতে পারেন। উৎপলকে অনুসরণ করেও কোথাও মনে হবে না,
তিনি তাঁকে কপি করছেন। তরুণ প্রজন্মের জন্য একটা বিরাট উন্মুক্ত
স্পেস তিনি রেখে গেছেন, অবিরাম খেলা করার। এই খেলায়
উৎপলের কোন আপত্তি থাকার কথাই নয়, হয়তো আপ্লুতও হবেন না এব্যাপারে
।
No comments:
Post a Comment