।। বাক্‌ ১২০ ।। শান্তনু দাস ।।






অপেক্ষা

ঘ্রান সামলে রাখ। কতো ময়ুরের ছোপ ছোপ দিগন্ত ঘুম চুরি করে নিল ঝরনার আত্মা থেকে।
ফোলা পালের সমীচীন ইচ্ছেরা হাত বাড়ায় জানালার একাত্ম কাচে। খুব চাইছ নিজের মধ্যগামী অববাহিকা লুকোতে। তবু কেউ তো চোখের ঋণ গভীরতম জঙ্গল সেঁচে বানাল আশ্রয় জল। দ্বীপান্তর মূর্তি। ভেসে আছি নিজের আলজ্জ অছিলায়। হাতে হাতে বাতাস ঋতু নিয়ে গেছে। শরীর দীপাবলি গুঁড়ো গুঁড়ো আলোয় কি আজীবন থেকে যাবে অপেক্ষা আতুর?  

জার্নির উলটো পিঠ

ছোড়া বল্লম ফিরে আসে ঘোটৎকচের আয়নার ক্যানভাস
পাল্কির নীচ দিয়ে বয়ে চলে নদী
এখানে সকাল হয় বিকেলবেলা পেরিয়ে উচিৎ রোদ্দুর
বেলা শেষ হলে শুরু হয় খেলা প্রভাতি নাচের বাগান জুড়ে পিঠ খোলা বারান্দায় প্রেমের পান্তারস, গলে গেলো মোটা কন্দের ফুস্কুড়ি হেম জাগে গুঁড়ো লণ্ঠনে পিটুইটারি পদ্মে লেগেছে বাতাস আকাঙ্ক্ষার জানালা দিয়ে বাড়িয়ে দিচ্ছি হাত, এসো চকমকির আদি অঙ্গারে হাত ধুয়ে নিই চরম দানের সেই নিঃস্ব সময়ে আবিষ্কার হয়েছিল ভ্রূণ, স্পার্ম জাড্য মোটিলিটি স্নেহ আধারমায়াপরশ্রীকাতরতা
ইচ্ছের লু বয়ে যায় চীর গ্রীষ্মকাল পরাগের যোজ্যতা নিয়ে
ক্ষয়ে ক্ষয়ে পৃথিবী ঘূর্ণন শেষে
উলটো পিঠে এসে সে সোজা হয়ে দাঁড়ায়


পোশাক হীন গুগগুল

এখুনি কবিতা করে এলাম।
নিঃস্ব বাতাসে চুরমার ধ্বনি এক বাক্স চর্মরোগ।
বাকি খাতায় লিখে রাখুন হিসেবের জেরুজালেম।
একটি খানকি সীমান্তরেখায় পার হয় খাদ
লোভী পাপী গণখোর। এই নিন নতুন কাব্য সুত্র, বলি যদি
সে জানে এও যেন গণ পায়ুপথ। যার শেষে পিচ্ছিল উদাস শব,  
যে ধমনীতে এখনও স্বপ্নের বাইপাস বাস-স্টপহীন 
ভাইপো করে দিয়েছে সবাইকে রাষ্ট্র খলল।
আর ঐ হাতপাখার কোথায় লুকনো থাকে হাওয়া তা বলা নেই কারণ
গোটা মহাভারত কবিতা করেছেবস্ত্রহরণে ছন্দময় অন্ত মিল।  
আমিও কবিতা করি কাদায়, বেপথু প্রথায়। নিরুপায়। 
পাশাপাশি ছিদ্র থাকা সত্ত্বেও নাকেদের সুড়ঙ্গে সঙ্গম নেই। 
মানুষ তবুও পিছনের সন্ধান রাখে।
পোশাক পরা দশায় থুতু ছিটালে ঘৃণাই প্রকাশ পায়।
তার চেয়ে ভালো, পোশাক খুলে আসুন পরস্পরকে প্রশংসা করি। 




No comments:

Post a Comment