।। বাক্‌ ১২০ ।। নীলাব্জ নিয়োগী ।।





সহিষ্ণুতা

আমরা এতো সহিষ্ণু কেনো বলো তো?
এই যে আমার চামড়া ছিঁড়ে,মাংস খুবলে,রক্ত মাখা হাঁড় দেখতে ইচ্ছে করলে
আমি দাঁত কিংবা নখ বের না করে
বের করে আনি হৃদয়ের কোমলতা ...
তারপর শিরাতে-ধমনীতে পাক দিয়ে একটা ফাঁসির ব্যাবস্থা করতে গিয়ে দেখি আমার খুব বৃন্দাবনী সারাং গাইতে ইচ্ছে করছে!
আমরা এতো সহিষ্ণু কেনো বলো তো?
আমার ভীষণ মরতে ইচ্ছে করে।
তারপর ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে ঝুলন্ত তারা হওয়ার স্বপ্ন দেখতে দেখতে মনে পড়ে মায়েদের বয়স বাড়ছে,
আমার অনেক কাজ বাকি।

আমার বিছানায় যেসব পাতার শুয়েছে,
তাদের গাছে ফুল ধরেনি।
আমার ইচ্ছে করেনা নিজের বিছানা ছেড়ে অন্য কারও বিছানায়,
নিজের শরীর ছেড়ে অন্য কারও শরীরে...
আমি নিজেকে ভালোবাসতে জানি- গুছিয়ে।
এতো সহিষ্ণু বলেই হয়তো গত রাতে ঘুম ছিলোনা!

আমরা এতো সহিষ্ণু কেনো বলো তো?
চোখে জল নিয়ে সানগ্লাস কিনি পকেট শুন্য করে।
জল ঢাকেনা।
গড়িয়ে পড়ে গাল বেয়ে গলা-গলা বেয়ে বুক-বুক বেয়ে- না,শুকিয়ে যায়।
বীর্য্যপাতে অভ্যস্ত হাতের মুঠোয় কখন যে একটা গোলাপ উঠে আসে,
বোঝার আগেই দুটো ভাগ হয়ে যায়।
আমি যত্নে রাখি একটার-ই আদলে।
এটা সহিষ্ণুতা নয়?

আমরা এতো সহিষ্ণু কেনো বলো তো?
জানালা দিয়ে পাহাড় কাটিয়ে,
নেমে আসি ধোঁয়ায়-যানজটে!
আমার মরে যেতে ইচ্ছে করে,
তারপর আমার চুল বেয়ে নেমে আসা ঘন কালো রাত্রি বলে-
"বাঁচতে হবে,
সব মানিয়ে বাঁচতে হবে"

আমরা এতো সহিষ্ণু কেনো বলো তো?

No comments:

Post a Comment