দুটি কবিতা
৬
তোমাকে পাঠাচ্ছি বার্তা। অমোঘ নির্মিত যে তেপায়া তুরীয়। তার ঝকঝকে রচনাপাঠ।
তোমার গতির বার্তাটি ঝকঝকে। আমার তো তেমন কোনো দুরন্ত
নেই হে পয়গম্বর। তবু পড়ি তোমাকে। পড়তেই থাকি।
প্রাক-কবিতা জড়ানো শিশুফণার খিলখিল শুনতে পাই।
আরোগ্য- আবাসের প্রতিটি অভিষেক। সম্রাটের মাঝের বাদশায় ভেসে আছে যে দুর্দান্ত
গুঢ়কথার গুচ্ছমূল। অতলান্ত মূর্ছনা।
থাকি তারই অপেক্ষায়। তোমার কাছে পুনরায়। পূর্ণতায়।
মধুক্ষরণের কালটুকু। অশ্রুর পেখম। ময়ূর সমেত। ময়ূরীহীন যেন তোমাতেই পৌঁছই...
তোমার পঞ্চায়েত-ছোঁয়া রাগপদ্ম। তোমার অমরায়। ধুকপুক করি
হে।
৭
তুমি আড়ম্বর হইচই। তৃষ্ণার তৎসম।
স্থির হও এবার। কতকাল আর ঘুরবে আপেলজগতের গত
পঞ্চাশবছরে। কতকাল আর দোলসিন্দুকের দুলুনি। মুহুর্মুহুর
লয়। রাতজাগা স্বরঅভ্যেসটি। আজো
গ্যালো না তোমার।
নির্জন হও। আরও
নির্জন। প্রেক্ষাপটের দুন্দুভি বরং। আঁকো আবহকায়া।
কল্লোলের বিদ্যালয় খুঁটে ত্রিভুবনের পাঠশালাটি খুঁজে পাও। ভালবাসতে শেখো।
না-ভালবাসার
মোড়ক।মোড়কের শেষ দোটানা। শুরুর এগারো পংক্তি।
মালঞ্চচিত্রীহে। তোমাকে বেঁধে আছি বিহানে। কারুঅভ্রের
দালানে। ফাঁকে ফাঁকে। পরম্পরার পেট। বুক। বাঁধভাঙা। চাকভাঙা চারাদের বনানী।
রাঙাচ্ছে হরিৎ।
মোহরে ভরাট।
তাড়া নেই। ফিরে
এসো। কুশলাদির নিটোলে।
No comments:
Post a Comment