আয়নার হর্ষ
ভাগাড়ের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আয়নার সংখ্যাও
বৃদ্ধি পায় । আয়না তো
বাড়ছেই কী করা যাবে । যদি কারো তা দেখে কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়ে, হাততালির
অন্ত নেই । আয়না
তো দেখছে থুতু পড়ছে চাঁদে, থুতু পড়ছে সূর্যে, বাঁদরেরা
ব্যাপক দাঙ্গা বাধিয়ে বিপন্ন করে তুলছে বসতবাড়ির
রোজগেরে কথাপ্রকৃতি
আপনা থেকে ধুলো উড়িয়ে কাঁদছে কারা, মরাকান্না, ধরতে পারছে না ইঁদুর
ধরেও ধরতে পারছে না নিজেদের চালচিত্রের ফাঁকগুলি । আর আয়নারা দেখছে
নীল জল কখন কিভাবে লাল হয়ে যায়, লাল জল শুকিয়ে ভুত হয়ে যায় শূন্যে ।
বাচ্চাদের আন্দোলনে আপাত ক্ষতি নেই, বয়স্করা ভিরমি খেলে তীব্র রেখাপাত
স্বাভাবিক সম্পর্কের ওপর । কুকথা চলুক, তবে আয়নাকে বিষ দিলে ছলাকলা
হয়তো স্পষ্ট হবে না আর তেমনভাবে,
একথা মাথায় রেখেই টায়ারের হাওয়া
শেষ হওয়ার আগেই কল্পনা পরিকল্পনা বদল হয় যাতে ভাগাড়
নিয়ন্ত্রণে থাকে ।
থাকে মাত্র ভাবনা, বাকি নিয়ন্ত্রণ ভেঙ্গে
যায়, আয়নার হর্ষ বৃদ্ধিও রুখতে পারি না ।
বিবাহের পর
যদি এমন হয়, পরম্পরা হলুদরঙা হইয়া পড়ে । হাউমাউ কাউমাউ করিতে থাকে
বিতর্কহীন সম্পর্কগুলি । সাইকেলের টায়ার পূর্বদেশ হইতে পশ্চিমদেশে যাইতে
বারংবার সূত্রধরের বিবমিষা উদ্রেক করে । আমিতুমিতাহারাগুলিকে লাল হইতে
বলিলেই লাল হইয়া উঠিবে কেন, অক্সিজেনস্থ আত্মবোধগুলি নিরন্তর নিজেদের,
অন্যের অঙ্গুলি হেলনে কেন সর্দিকাশি ও ফক্কিগিরিতে জড়াইয়া রাখিবে
। পাখি
কেন ভাঙিতে যাইবে তোমার
বাঁশিছাওয়া ঘর, বরং তুমিই তো পাখির বাসায়
দিবারাত্র অ্যাসিডের বারিপাত ঘটাইতেছ । অসমান্তরাল জলকে তোমরাই তো
নাম দিয়াছ বড়বাবু ছোটবাবু এবং নিরক্ষর আদিবাসী । যদি এমন হয়, পরমাকে
ভুল অনুবাদ করিতে করিতে রক্তমাংসপ্রাণ বিক্ষিপ্ত করিয়াছ, শ্মশান বানাইয়াছ
অথবা পরমার বস্ত্রগুলির সাইজ ক্রমশ:
ছোটো করিয়া মাত্র রুমালে ঢাকিয়াছ
তাহার
ও তাহাদের লজ্জা । ছেলেরা শুধু হোটেল ম্যানেজমেন্ট ও
আইআইটি
পাস
করিতেই থাকিবে অথচ আমাদের ও তাহাদের মা-বাবারা ফুঁপিয়াফুঁপিয়া
কাঁদিয়া
চলিবে । যদি এমন হয়, আমিত্ব চলিয়া গিয়া উপআমিত্বে ভরিয়া গিয়াছে
সারা
দেশ । তুমিত্বে ঘেউঘেউ করিতেছে একবিংশ শতাব্দীর
কুকুরেরা । সাধারণ
ভালোবাসাগুলি
পরিবর্তিত হইয়া কেবল সাঁড়াশি চিমটিতে পূর্ণতা পাইতেছে ।
বেশ বটে
ReplyDelete