চারটি
কবিতা
শোলমাছ
হাট থেকে মিহির
কাকা বাড়ি ফিরছেন। হাতে ব্যাগ
ব্যাগের ভিতরে
মৌসুমি শাকসবজি
তেল-নুন আর এক জীবন্ত শোলমাছ
নির্জন গ্রামপথ।
ব্যাগে থেকে কথা বলে উঠলো শোলমাছ
আমাদের মিহির
কাকাও খুব সদালাপি লোক; শোলমাছের সঙ্গে
তার গল্প জমে
গেল
ব্যাগের ভিতর
থেকে শোলমাছও কাকার সঙ্গে গল্প করছে-
‘ফেলে
আসা নদীর জীবন; তার আজ যাত্রা হচ্ছে
সমুদ্রের দিকে’
গ্রাম
শহর বসেছে
বিকেলের ছাদে এসে। ধোঁয়ামাখা
ময়লা আকাশ দেখছে
হঠাৎ দেখতে পেল
উড়ে যাচ্ছে একঝাঁক বুনোহাঁস
উড়ে যাচ্ছে
একগুচ্ছ গ্রাম
চেয়ার
‘মুরগি
লাফিয়ে উঠলো পোপের চেয়ারে’
শুনে গেদু
তাকিয়েছে সন্দেহ চোখে
আমাদের গ্রামের
গির্জা; গির্জার মাথায় যিশু
যিশুকে বাধ্য
করা হয়েছিল বয়ে নিতে নিজে নিজের ক্রুশকাঠ
গ্রাম পেরুলে
মাঠ। ফুলকপি মটর পালং আর বিবিধ সবজিখেত
ঠেলাভ্যান বোঝাই
হচ্ছে, চলে যাচ্ছে হাটে...আড়তে
আজ পোপের এত
ব্যস্ততা, সামান্য বিশ্রাম নেবে
তারও সময় নেই
ফাঁকা তাই পড়েই
র’লো নড়বড়ে বাঁশের চেয়ার
ফ্রান্সিস পোপ, আমাদের গ্রামের সবজিবিক্রেতা
পান
বারান্দায় রোদ
উঠছে; পায়ে ওর কাঠের খড়ম
কলপাড়। সকাল
রোদে ভেসে যাওয়া
কলপাড়
বদনা থেকে আলো
ঢেলে মুখ ধুচ্ছে
দাদিমা- পানের
বাটা খুলেছে যখন
পানগাছ লতিয়ে
উঠছে বুড়ির সমস্ত শরীরে
গাছে গাছে লতায়
পাতায় নাচে
টুনটুনি পাখি
No comments:
Post a Comment