চতুর্দিক
আজ আমাদের বাড়িতে রাজমিস্ত্রীর শেষ
কাজ।
একটা টিনের চাল উঠবে, তার জন্য কিছুটা গাঁথুনি। দুচেলে চাল হবে। উত্তর-দক্ষিণ মুখো।
মা বলছে, উত্তর দিকে মনসা মন্দির, আর দক্ষিণে
যে কোন ড্রেনের ব্যবস্থা নেই, জল কোনদিকে যাবে
আজ শুক্রবার।এখন বারোটা। রাজমিস্ত্রী পশ্চিমে বসে নামাজ পড়ছে। পুবের কোণে
ঘুঘু চড়ছে। মাথার উপর পিচ কারখানার কালো ধোঁয়া উড়ে যাচ্ছে। আর পায়ের নিচে বহুদিনের
পুরনো একটা লাট্টু মাটি চাপা পড়ে আছে।
সৎপথে বলছি
১.. "অশ্লীল সময় কাটিয়েছি
"- না এটা কোন ব্যক্তিগত মানুষের প্রতি উক্তি নয়। এটা এই কদিন
কবিতা না লিখে বেঁচে থাকার প্রতি এক সৎ বাক্য।
২.. যতবেশী চোখ মেলে ধরি, দেখি থমকে যায় শাড়ি। তার
শরীর নির্বিঘ্নে ভূমিষ্ঠ করে আমার জিভের রস। অবিরাম পলি জমে আসে আমার আত্মবোধে
৩.. উলুধ্বনি। উলুধ্বনি।আমার ও আমাদের
বাড়ির মেয়েদের কন্ঠের শ্বাসধ্বনি।উৎসব হয়ে ওঠে আমাদের শ্বাস। তোমার উৎসবে বায়ু জমে।
জমে জমে একদিন অশান্ত হয়ে ওঠে এই স্তব্ধ উলুবন। যেখানে কুৎসিৎ
এক কুকুরের জিভের রস ঝরে অনর্গল ....
৪.. এতোদিন পরে ঘুমের ভিতর থেকে একটা গোলাপ তুলে নিলাম। দেখলাম তার রঙ আমার
পোষা বিড়ালের মতো। রঙ আমার পচ্ছন্দ হলো না। বিড়ালকে রঙ করলাম গোলাপী আবীরে। সেই গোলাপের
রঙ পাল্টে গেল। কিন্তু রঙ হলো ঠিক আমার গায়ের রঙের মতো। সেই থেকে আমি আর গোলাপ পচ্ছন্দ
করিনা।
৫.. মাঠের পর মাঠ পেরোলে এখন ঘুম পেয়ে যায়। আর ঘুম ভাঙলেই মধু খাবার ইচ্ছা হয়।
কিন্তু মধু আর পাবো কোথায়, সব মৌমাছি যে ফাঁসির মঞ্চে ময়ূরের
ফাঁসি দেখতে চলে গেছে। তাই মাঠে আর যাইনা।
No comments:
Post a Comment